কলকাতা: ময়দানে শেষ হতে চলেছে একটা অধ্যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেই বুটজোড়া তুলে রাখবেন ময়দানে বহুযুদ্ধের কান্ডারি মেহতাব হোসেন। লিগের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে দল। তবু সুপার কাপে যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে লড়াই চালাচ্ছে বাগান শিবির। আগামিকাল ঘরের মাঠে শেষ হোম ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছে মোহনবাগান। আর শেষ হোম ম্যাচ খেলেই সবুজ মেরুন জার্সিতে ফুটবলকে বিদায় জানাতে চলেছেন একদা জাতীয় দলে মাঝমাঠের এই স্তম্ভ।
সূত্রের খবর, বাগান কোচ খালিদ জামিলের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে মেহতাবের। ক্লাবকেও জানিয়ে দিয়েছেন সমস্ত বিষয়টাই। তাই শেষ ম্যাচে যুবভারতীতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়েই মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে এই মিডফিল্ড জেনারেলকে। শেষ ম্যাচে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে তুলে দিয়েই মেহতাবকে বিশেষ সম্মান জানাতে চায় মোহনবাগান।
২০০১ টালিগঞ্জ অগ্রগামী থেকে ময়দানি কেরিয়ারে পথ চলা শুরু মেহতাব হোসেনের। সেখান দুটি মরশুম কাটানোর পর ২০০৩ প্রথম বড় ক্লাব হিসেবে মোহনবাগানে যোগদান করেন মেহতাব। সেখান থেকে ২০০৬ মরশুমে ওএনজিসি এবং তার পরের মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগদান করে কার্যত লাল-হলুদের ঘরের ছেলে হয়ে যান মেহতাব। দশ বছর লাল-হলুদের হয়ে ২৩২ ম্যাচ খেলা মেহতাব তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারে বিভিন্ন ট্রফি জিতলেও অধরা থেকে যায় আই লিগ।
ইস্টবেঙ্গলে থাকাকালীন শেষ তিন মরশুম লোনে কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে আইএসএল খেললেও অধরা আই লিগের স্বপ্ন স্বপ্ন রেখেই ২০১৭ মেহতাব পাকাপাকিভাবে পাড়ি দেন আইএসএলে। জামশেদপুর এফসি’র হয়ে এক মরশুম খেলে ফের পুরনো ক্লাব মোহনবাগানে ফিরে আসেন চলতি মরশুমের শুরুতে। সবুজ-মেরুন জার্সিতে কলকাতা লিগের পরই অবসর গ্রহণের বিষয়ে কানাঘুষো শোনা যায়। তবে দলের প্রয়োজনে আই লিগের জন্য দলের সঙ্গে থেকে যান একদা মাঝমাঠের এই স্তম্ভ। এরপর আই লিগে শংকরলাল চক্রবর্তী হোক কিংবা হালফিলের খালিদ জামিল। কারও অধীনেই দলে বিশেষ সুযোগ হয়নি মেহতাবের। শেষমেষ লিগের সায়াহ্নে এসে কেরিয়ারে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মেহতাব।
The post আরোজ ম্যাচের পরই সম্ভবত বুটজোড়া তুলে রাখবেন মেহতাব appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/2EalGn2
No comments:
Post a Comment